১৪ জানুয়ারি অন্তুর জন্মদিন।  আমাদের বন্ধুমহলের একমাত্র ছোট বন্ধু এবং ভদ্র ছেলেটা।  দুপুরে হুট করে শৌভন দা'র ফোন কলে জানতে পারলাম অন্তুর জন্মদিন আজ। নিয়ম মতো একটা কেকের ব্যবস্থা করে দুল দুল উদ্দ্যানে চলে এলাম কেক কাটতে।  অনন্তা খালার গলাতে গানে গানে কেক কাঁটা হলো শেষে..  
 


Chupi Chupi Chole Na Giye ( Maisha Fahmida)

করতোয়া দি প্রথম বাংলাদেশ আসে।  বিশাল হৈ হুল্লোর পরে গিয়েছে ঝিগাতলাতে মিশকাত আর হৃদ্যর বাড়িতে।  আড্ডা হচ্ছিলো প্রচুর।  করতোয়া দি এর ঘাড়ে এসে পরলো একটা গানের অনুরোধ।  তারপর দিদি তার বাবার বন্ধুর লিখা একটা আনরিলিজ গান আমাদেরকে গেয়ে শোনালো।
 আহা কী সুন্দর লেখা!  বার বার শুনি এখনও 

খরকুটো হয়ে ভেসে যাই,  করতোয়া ভট্টাচার্য

জীবন ভাই অসম্ভব গান করে। তার গলা ব্যক্তিগতভাবে আমার অনেক প্রিয়।  এবার যখন জীবন ভাই এর সাথে টানা ১৬ দিন থাকা হলো সে গান খুবই কম শোনাই।  আমি তো গান শোনার জন্যে জীবন ভাইকে সবসময় খোঁচায় " ভাই একটা গান শোনাও"  সবাই মিলে খোঁচা দেবার পর জীবন ভাই এর গলা থেকে জেমসের  দুঃখিনি গানটা বের হলো!! বুক থেকে যতো আবর্জনা  বের করে দিলো গানটা দিয়ে।  

দুখিনি দুঃখ করো  না ( জিবন)

যতোদূর মনেপরে এটা ২৭ ডিসেম্বর ২০২২।  করতোয়া দি দ্বিতীয় বারের মতো দেশে আসলো।  জীবন ভাই আর করতোয়া দি দুজনার জটিল প্রেম চলে এখন।  মেঘদলের গান ঠিকঠাক গায়তে আমি কাউকেই শুনিনি কখনও।  কিন্তু জীবন ভাই এর গলা একটা যাদু।  

কুমারি,  মেঘদল ( জিবন)

"আমাদের গান "  শো এর আগে কয়েকদিন অনেক প্রাকটিস চলছিলো।  দিদির পুরাণ বন্ধু সৈকত দা এসছিলেন দিদির সাথে বাজাতে।   

সুসময়ে ভালোবাসা হবে  ( করতোয়া ভট্টাচার্য)

১৯ শতকে ভারতবর্ষে মুসলমান শাসনের অবসান ও ব্রিটিশ শাসনের উত্থানের সাক্ষী উর্দূ ও ফার্সি কবি মির্জা গালিব। কোনদিন কারও অধীনে চাকরি না করে রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপোষকতায় কিংবা ধার করে জীবন-যাপন করেছেন। পরিবারের আভিজাত্যে যেমন গরিমা করেছেন তেমনই বাস্তবের নানান প্রতিকূলতায় বহমান জীবন থেকে তিনি রস পান করেছেন। তিনি ভারতবর্ষে আধুনিক কবিতার বিষয়বস্তুর পরিবর্তন করেছেন। তিনি সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সংগ্রামকে তার কবিতার মাধ্যমে দিয়েছেন শিল্পের স্বীকৃতি, কবিতার দূর্বোধ্য ভাষাকে করেছেন উন্মুক্ত। তাই তার কবিতায় সাধারণ মানুষ নিজের জবান খুঁজে পায়। 
গালিব নিজের সম্পর্কে বলে গিয়েছেন - 
তিনি অনাগত বাগানের পাখি, যে বাগান এখনো পৃথিবীর বুকে জন্ম নেয়নি। 
এইজন্য গালিব বর্তমান সময়েও প্রাসঙ্গিক। 

গালিবের জীবন, তাঁর প্রতিবাদের নিজস্ব ভাষা ও কবিতার প্রভাব সম্পর্কে আলোচনা করেছেন লেখক, জাভেদ হুসেন। 

লেখা- সংগ্রহিত 

আলোচনা - জাভেদ হোসেন এবং আয়রিন খান 

তারিখ - ১৭ আগস্ট, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬:৩০
 


ধানমন্ডি ২৭ দ্বিপ গ্যালারি।  




শিল্পের বিপ্লবী ভাষা: বর্তমান প্রেক্ষাপটে মির্জা গালিব _ জাভেদ হুসেন

সময় ছিলো ২৮ আগস্ট সন্ধ্যা।  ক্যাম্পাসে আড্ডা দিতে দিতে বিরক্ত।  এমন সময় সাকিব ভাই দেখি একদল নিয়ে কোথার থেকে হেসে খেলে আসছে।  তারা নাকী গান করছিলো।  একজনার হাতে লাইলনস্ট্রিং এর গিটারও দেখলাম।  কে গান করে এই নিয়ে প্রশ্ন উঠলে এই যে ভাইএর দিকে দেখিয়ে বলে " ভাই এর গান কানে গিয়ে লাগে না,  ভাই এর গান বুকে গিয়ে লাগে।  " তারপর আমি আবার একটু ভুলভাল কর্ডে লাইলন স্ট্রিং দেখে দু' একটা গান গেয়েই ফেললাম।  গেয়ে ভাইকে বললাম " ভাই আপনি যদি চান আমাদের কে গান শোনাতে পারেন। "  আমি তার নামও জানিনা পরিচয়ও জানি না।  এমনকী ছেলেটি আমাদের ক্যাম্পাসেরও না।  যখন গিটার বাজানো শুরু করলেন আশপাশের সবাই তো একেবারে ঘিরে ধরলো। আমি তো অবাক!  আশা করি নাই যে তার  মনে যে এতো সুর রয়েছে।  
যদিও গানটি আমি তার অনুমতি কোনোকিছু ছাড়া আপলোড করেছি।  

আগন্তুকের গান


  কে মানুষ কাঙ্গালিনী জানে না,
কাঙ্গালিনীও মানুষ খুঁজে,
কাঙ্গালিনী বলে  লালনের মাজারে তার গান কেউ শোনে না।
কাঙ্গালিনীর দুঃখ.......  


মানুষ | কাঙ্গালিনী সুফিয়া

কুড়িয়ে কুড়িয়ে শিখি 

Shaharik Istick Raz

Popular tracks