ধরো, গোটা কান্ডটাই হলো এমন। 
ড্যাগার টা টেনে বার করা হলো।
আর সেই ক্ষততেই গেঁথে দেয়া হলো রুক্ষ, উগ্র, মারদাঙ্গা বুলেট।

ঠিকই তো, অন্যের জিভ কেটেও তো কেউ কেউ খেলা দেখায়।

গাঢ় রঙিন প্লেটে থকথকে এঁটো অনুভব দেখে খোদ ঈশ্বর ‘শিশু’ বলে হেসে ফেলেন। চোখজোড়া নিতান্ত দেখে আনকোরা প্রাচীন, বাতিল জঞ্জাল।

একটা মোটা দাগ অনায়াসে কর্কশ টেনে দেয়া যায়।

লোকে বলে- সদাই করলাম। 
অথচ একটা দেশলাই কেনা হয়েছিল। 
কিছু নুন।আর ক’টা আলুও। 
ভাবনারা এখানেও তাই মধ্যরাত করে তোলে আর গোলটেবিলে আটকা পড়ে। 
অপ্রকৃতস্থ নেশাড়ু সমঝদার- ওটা বুঝবে? 
পড়ে নেবে নিস্তেজ মোটা দাগ- সদাই করলাম তো! সদাই শেষ!

এমনই তো।

আর ফ্রস্টের অ্যাপল গাছটাও প্রতিবেশী পাইন গাছটাকে ততোটাই জানবে, যতটা সে জেনেছে নিজেকে। মেন্ডিং ওয়াল থাকেও, যদি না থাকেও।

‘স্বত্তা’র ভেতরে ঘুরপাক খেলে তাকে স্রষ্টার সৃষ্টিযন্ত্রনা বলে চালিয়ে নিই। আর কথা নেই, শব্দ নেই, যদি এভাবেই আলোর নামে শর বিদ্ধ করে দৃষ্টিতে;
আর চামড়া খুঁটে খুঁটে মাংস পচিয়ে গলিয়ে করে চিরায়ত আহতি; 
আর ভাঙ্গাচোরাতো কারো মৃত্যু জেনেও যদি নিজধর্মকেই কাল করে তোলে;
আর ডেকে আনে প্রচন্ড জ্বর, কুঁকড়ে দেয়, থতমত করে দেয়;
তবে? 
তাতে কিছু না।

বেদির গায়ে মৃতের নাম লেখা থাকে। 
মৃত্যুর নাম কেউ মনে রাখে না।

background music credit :  https://www.youtube.com/watch?v=0bjB-IWEYI0

Eris Erinyes