শিরোনামঃ ঘর বাহির
গায়কঃ লিমন
............................

আমি ঘরের হইনি, বাহির আমায় টানে
আমি তোমার হইনি শুধু আকাশটা জানে
আমি পথ থেকে পথে যাই,দূর থেকে দূরে
আমি তোমার জন্য গাই,একটা গান সুরে
আমি তোমায় ভুলে বল যাব, কোন খানে।
তাই তোমার হইনি আকাশটা জানে।

আকাশ যেথা মেশে আমার পাশের গাঁয়ে
সেথা বাতাস বলেছে আমার কানে কানে।
আমি খুঁজিনি কখনও আকাশের মানে
তাই তোমার হইনি আকাশটা জানে।
.....................................................

ঘর বাহির - লিমন

নির্বাণ - মেঘদল

Sharadin Tomay Bhebe-Partha Barua

এই বরফপথ
এই কঠিন রাত
তোমার পুরোনো অজুহাত

এই আলোর নিচে কাঁপতে থাকা
ছায়ার শিকড় ছিঁড়তে চাই
এই উল্কাপাত এই বিশ্রী রাত
আচমকা এই গোপন আঁতাত
সব ধ্বংস হওয়ার আগেই আমি
তোমার চোখে ভিজতে চাই

আর কেউ তোমার ভাষাতে
সমুদ্রের ভালোবাসাতে
ফিরিয়ে নিয়ে গেলো তোমায়
আহত ঝিনুক সৈকতে

আর চিরাচরিত জীর্নতায়
আবার প্রেমের তীক্ষ্ণতায়
সব রেকর্ড করা থাকবে তোমার
অন্তর্বতী শূন্যতায়

যদি এক মূহুর্তের জন্যেও আমায় চাও
সেটাই সত্যি

ছন্দপতন ঘটতে থাকে
ভাঙ্গনে গেলে ভুল করি
আমার বয়সের ওজন তোমার
খবর রাখা জরুরী
এই মৃত্যুমুখী শহর যেন
শূন্য মাপার কারখানা
গিলছে তোমায়, গিলছে আমায়
আন্ধকারের আস্তানা।

আর এই ক্যাফেটরিয়ায়
আবার যেদিন ফেরা যায়
তোমার রুমাল মোছা ঠোঁটের
এই নিয়ম মানার বাধ্যতায়।
তখন চিন্তা ঘুম
মেনে নিতে পারলে না।
সব রেকর্ড করা থাকবে তোমার
অন্তর্বতী শুন্যতায়।

Chotushkon- Setai Sotti-Rupankar

একটা বইয়ের নিজের গল্পটা কেমন হতে পারে- এই চিন্তা থেকে গানটা করেছিলাম কিছুদিন আগে। মনে হলো গানটা প্রকাশের জন্য এটা দারুণ সময়! এবারের একুশে বইমেলায় আমার এবং এই গানের রচয়িতা বন্ধু মোস্তাকুর সন্ধান- আমাদের দুজনের দুটো বই প্রকাশিত হয়েছে! সন্ধানের বই ‘সুন্দরের সমীপে’ পাওয়া যাচ্ছে ‘অনন্যা প্রকাশনী’ থেকে। আমার বই ‘গণিতের রঙ্গে হাসিখুশি গণিত’ পাওয়া যাচ্ছে ‘আদর্শ’র ৪১১-৪১২ নং স্টলে।

“একটি বইয়ের আত্মকথা”
কথা: মোস্তাকুর সন্ধান
সুর ও কণ্ঠ: চমক হাসান, ফিরোজা বহ্নি
গিটার: ফজলে রাব্বি
কিবোর্ড: মুস্‌তাহসীন মোবাশ্বের দীপ্র
ডাউনলোড লিঙ্ক: http://www.mediafire.com/listen/11w8bvvwq67teep/ekti_boier_attokotha.mp3

আমি শব্দের জাল বুনে ভাবি বসে  আনমনে   
আমার পাতায় কেউ যদি হাত রাখত হঠাৎ
কাগজের গালে আমি লেগে থাকি আলো হয়ে 
ভালবেসে কেউ যদি খুলতো মলাট!

উড়ে যেত জোনাকিরা গলি আর ঘুপচিতে 	 	
অগ্নিস্নাত  হত যত আপামর 
আমি রঙিন এক বাক্সে বন্দী কালো অক্ষরে 
কত রঙ জমা আছে আমার ভেতর!  

লেখকের স্বপ্ন আমি বিচিত্র চরকাতে 
বুনেছিল আমায় কোন এক প্রকাশক 	
তারপর আমি রোজ বসে কোন স্টলে 
পথিকের পানে চেয়ে থাকি অপলক!

যান্ত্রিক এ নগরে নিঃসাড় এ আমার 
পাঠকের অপেক্ষায় কাটে দিন-রাত 
কাগজের গালে আমি লেগে থাকি আলো হয়ে 
ভালবেসে কেউ যদি খুলতো মলাট!



একদিন অবশেষে এক উদ্ভ্রান্ত যুবক এসে
ধুলো ঝেড়ে আমায় কিনে করে উদ্ধার
আমার সফেদ বুকে প্রেমিকার নাম ঠুকে
শান্ত বিকেলে মেয়েটিকে দেয় উপহার!

আমি শব্দের জাল বুনে ভাবি বসে আনমনে
আমার পাতায় সেই মেয়েটি যদি চোখ বুলাতো হঠাৎ
কাগজের গালে আমি লেগে থাকি আলো হয়ে 
ভালবেসে সে যদি খুলতো মলাট!

অতঃপর সেই রাতে প্রদীপের আলো হাতে
পড়ুয়া মেয়েটি হল আমার প্রথম পাঠক
মুক্ত আমি সারারাত মুগ্ধ হয়ে দেখলাম
চশমার আড়ালে তার স্নিগ্ধ দু’চোখ!

উড়ে গেল জোনাকিরা গলি আর ঘুপচিতে
অগ্নিস্নাত হলাম আমি অতঃপর 	
আমি রঙিন এক বাক্সে বন্দী কালো অক্ষরে 
কত রঙ জমা ছিল আমার ভেতর! 


ঘর বাহির - লিমন

Ferari Pothik