বাউল এবং লোকগীতি

শ্যাম অঙ্গে রাই অঙ্গ হেলিয়া -  Probhati Baul

সোনাবন্ধুরে, আমি তোমার নাম লইয়া কান্দি - হেমাঙ্গ বিশ্বাস

Mon Bibagi by Sheetol

তারে ধরি ধরি মনে করি
ধরতে গেলেম আর পেলেম না।।
দেখেছি...
দেখেছি রূপসাগরে মনের মানুষ কাঁচা সুনা।

বহুদিন ভাবতরঙ্গে, ভেসেছি কতই রঙ্গে,
সুজনের সঙ্গে হবে দেখা সুনা।
তারে আমার আমার মনে করি
আমার হয়ে আর হইলো না।
দেখেছি...
দেখেছি রূপসাগরে মনের মানুষ কাঁচা সুনা।

সে মানুষ চেয়ে চেয়ে, ফিরেতেছি পাগল হয়ে।
মরমে জ্বলছে আগুন আর নিভে না।
আমায় বলে বলুক লোকে মন্দ,
বিরহে তাঁর আর প্রাণ বাঁচে না।
দেখেছি...
দেখেছি রূপসাগরে মনের মানুষ কাঁচা সুনা।।

পথিক কয় ভেবো নারে, ডুবে যাও রূপসাগরে।
বিরলে বসে করো যোগসাধনা।
একবার ধরতে পেলে মনের মানুষ
ছেড়ে যেতে আর দিওনা।
দেখেছি...
দেখেছি রূপসাগরে মনের মানুষ কাঁচা সুনা।।

তারে ধরি ধরি মনে করি
ধরতে গেলেম আর পেলেম না।।
দেখেছি...
দেখেছি রূপসাগরে মনের মানুষ কাঁচা সুনা।।

দেখেছি রূপসাগরে মনের মানুষ (Dekhechi Rup Sagore Moner Manush)

আমি গৌর বলে ডাকি (পার্বতী বাউল)

Tomay Hrid majhare rakhbo

কথা ও মূল সুর : গগন হরকরা
কম্পোজিশন : জলের গান - ২০০৬/০৭
রেকর্ডিং লাইনআপ : রাহুল আনন্দ, কনক আদিত্য, জার্নাল, কার্ত্তিক 

শিরোনামঃ আমি কোথায় পাব তারে

আমি কোথায় পাব তারে,
আমার মনের মানুষ যে রে।
হারায়ে সেই মানুষে, তার উদ্দেশে দেশ-বিদেশে-
আমি দেশ-বিদেশে বেড়াই ঘুরে;
কোথায় পাব তারে, আমার মনের মানুষ যে রে।।

লাগি সেই হৃদয় শশী, সদা প্রাণ হয় উদাসী,
পেলে মন হতো খুশি, দিবা-নিশি দেখিতাম নয়ন ভরে।
আমি প্রেমানলে মরছি জ্বলে, নিভাই কেমন করে-
মরি হায়, হায় রে-
ও তার বিচ্ছেদে প্রাণ কেমন করে
(ও রে) দেখনা তোরা হৃদয় চিরে
কোথায় পাব তারে, আমার মনের মানুষ যে রে।।

দিবো তার তুলনা কি, যার প্রেমে জগত সুখী!
হেরিলে জুড়ায় আঁখি, সামান্যে কি দেখিতে পারে তারে!
তারে যে দেখেছে সেই মজেছে ছাই দিয়ে সংসারে।
মরি হায়, হায় রে-
(ও সে) না জানি কুহক জানে
অলক্ষ্যে মন চুরি করে, কটাক্ষে মন চুরি করে;
কোথায় পাব তারে, আমার মনের মানুষ যে রে।।

কুল-মান সব গেলো রে! তবু না পেলাম তারে
প্রেমের লেশ নাই অন্তরে, তাইতে মরি দেয় না দেখা সে রে;
ও তার বসত কোথায় না জেনে তাই গগন ভেবে মরে-
মরি হায়, হায় রে-
(ও সে) মানুষের দিশ যদি জানিস
কৃপা করে বলে দে রে, আমার সুহৃদ হয়ে বলে দে রে,
ব্যথার ব্যথি হয়ে বলে দে রে;
কোথায় পাব তারে, আমার মনের মানুষ যে রে।।

হারায়ে সেই মানুষে, তার উদ্দেশে দেশ-বিদেশে
আমি দেশ-বিদেশে বেড়াই ঘুরে;
কোথায় পাব তারে, আমার মনের মানুষ যে রে।

Ami Kothai Pabo Taare (আমি কোথায় পাব তারে) । JOLER GAAN । Original by Gagan Harkara

কেন পিরিতি বাড়াইলারে বন্ধু
ছেড়ে যাইবা যদি
কেমনে রাখবি তোর মন
কেমনে রাখবি তোর মন
আমার আপন ঘরে বাধিরে বন্ধু
ছেড়ে যাইবা যদি
পাড়া পড়শী বাদী আমার
বাদী কালনী নদী
মরম জ্বালা সইতে নারি
দিবা নিশি কাঁদিরে বন্ধু
ছেড়ে যাইবা যদি
কারে কী বলিব আমি
নিজেই অপরাধী
কেঁদে কেঁদে চোখের জলে
বহাইলাম নদী রে বন্ধু
ছেড়ে যাইবা যদি
পাগল আব্দুল করিম বলে
হলো এ কী ব্যাধি
তুমি বিনে এ ভুবনে
কে আছে ঔষধি রে বন্ধু
ছেড়ে যাইবা যদি

শাহ আব্দুল করিম - কেন পিরিতি বাড়াইলারে বন্ধু

কোন মেস্তরি নাও বানাইলো এমন দেখা যায়
ঝিলমিল ঝিলমিল করে রে ময়ূরপঙ্খী নায় ।।
চন্দ্র-সূর্য বান্ধা আছে নাওয়েরই আগায়
দূরবীনে দেখিয়া পথ মাঝি-মাল্লায় বায়
ঝিলমিল ঝিলমিল করে রে ময়ূরপঙ্খী নায় ।।
রঙ-বেরঙের যতো নৌকা ভবের তলায় আয়
রঙ-বেরঙের সারি গাইয়া ভাটি বাইয়া যায়
ঝিলমিল ঝিলমিল করে রে ময়ূরপঙ্খী নায় ।।
জারি গায়ে ভাটি বায়ে করতাল বাজায়
মদন মাঝি বড়ই পাজি কতো নাও ডুবায়
ঝিলমিল ঝিলমিল করে রে ময়ূরপঙ্খী নায় ।।
হারা-জিতা-ছুবের বেলা কার পানে কে চায়
পাছের মাঝি হাল ধরিয়ো ঈমানের বৈঠায়
ঝিলমিল ঝিলমিল করে রে ময়ূরপঙ্খী নায় ।।
বাউল আব্দুল করিম বলে বুঝে উঠা দায়
কোথা হইতে আসে নৌকা কোথায় চলে যায়
ঝিলমিল ঝিলমিল করে রে ময়ূরপঙ্খী নায় ।।

শাহ আব্দুল করিম - কোন মেস্তরি নাও বানাইছে/ঝিলমিল ঝিলমিল করেরে ময়ূরপঙ্খী নাও

রাজ্জাক দেওয়ান - কি হবে বাসর রচিয়া যদি দেখা না দিলে আসিয়া (খালেক দেওয়ান)

RAJU-Hari din to gelo sondha holo

Stripped back and raw, this album is the culmination of many years’ work, imbued with the itinerant flavour of life on the road. It was recorded on spare days, in between concerts and travels, between 2006 and 2009.

Some songs were recorded at home in Montreuil, France, and include the exceptional Rajasthan musicians Nathoolal Solanki (the monumental nagara player from Pushkar) and Chugge Khan (from Jaisalmir). Other tracks were recorded in September 2009 in London with Paban’s lifelong friend Nimai Goswami. 

After releasing a number of crossover albums, from 1994 to 2004, Paban wanted to return to his folk origins and re-explore Baul culture in light of his experiences. He wanted to produce his own album, to record his songs unplugged and to arrange them himself, using all the knowledge he acquired working with Western musicians. He sought out sound engineers Subhadeep Sengupta in Kolkata, Francis Bonfanti in Paris (who first recorded Paban in 1977 for the album Le Chant Des Fous) and Paul Chivers in London. The aim was to render the authenticity of Paban’s vocals with a minimum of tampering. Paban, deeply interested in the process of sound recording, added overdubs of backing vocals, as well as the dubki and the khamak. 

On Music Of The Honey Gatherers, Paban performs songs from the trail of the honey gatherers – the wandering Baul singers from the very eastern end of the Indo-Gangetic plains. It is here that the Baul singers of Bengal circulate, anchored in a unique way of life. The honey they gather is spiritual rather than physical. When the sound of a Baul’s voice penetrates the ear, an inner tree – the kalpa briksha (the tree of time) – awakens to life inside the body and seven flowers bloom, lotus chakras of energy, and honey rises in these blossoms. In exchange for this honey, the villagers give alms of rice, dal and vegetables to the Bauls.

Madhukuri (honey gathering) is a tradition among the mendicant Baul singers of Bengal, a tradition that is anchored in the rites of early Tantric Buddhism. They believe that God resides only within the body and is therefore within every human’s reach. Each morning, the Baul singers wander from village to village singing for alms, playing their one-string ektara and thumping on the duggi (bass drum), with voices raised in ecstasy to celebrate the secrets of the human body. 

In his wandering, Paban Das Baul has picked up melodies and rhythms, and improvised new words to describe new situations, using the age-old simple village metaphors: the body is a boat, the river is life itself, and the true mastery over sailing can be achieved if the helmsman knows his own grid. The body is a pot of clay, which needs to be fired by inner knowledge in order to retain the water of love. 

Like his brother Bauls, Paban is a wanderer, an ascetic who abandons the village world to lift his voice in heartfelt songs to the world, to heal by awakening new, magical energetic life. 

Emotional, varied and intensely spiritual, this beautiful collection of songs demonstrates why Paban Das Baul has succeeded in bringing the traditional oral world of Baul singers of Bengal to an international audience. 


Paban das Baul - Guru To Dayal

Composed and arranged by me
Singer: Gargi
please contact for any music composition at drono001@gmail.com

Dil Ki Doya-Folk

কৃষ্ণকলির গলায় ঝুমুর :)

কালো জলে কুচলা তলে (kalo jole kuchla tole)

Shuya jaO~jOler gaAn~

i just used  a broken guiter 
for this abnormal/broken rhytm and singing ... :) 
.......................................................................................... 

Original song:
_________________________ 
Lyric and tune: Ashutosh shujon_
Vocal: Tanvir_

Radha gO...(আমি ও আমার ভাঙ্গা গলা...)

প্রত্যন্ত অঞ্চলের বাউলদের কাছে ও গান শিখেছি : অভিজিৎ বসু

জলসা : আপনি কি নিজেকে একজন লোকশিল্পী মনে করেন?

অভিজিৎ বসু : দেখুন লোকশিল্পী বলতে আমরা বুঝি যারা কোন নির্দিষ্ট একটি অঞ্চলের গানের চর্চা করেন। যেমন রংপুরের লোকরা ভাওয়াইয়া গান গায়, শেফালী ঘোষ চট্টগ্রামের পালা গান গাইতেন। প্রয়াত নির্মলেন্দু চৌধুরী সিলেট অঞ্চলের গানের চর্চা করতেন। এছাড়াও, হাসন, লালন, রাধারমণ সবই লোকগানের এক অনন্য সৃষ্টি। আমার বিষয়টি হচ্ছে আমি এসব লোকসংগীতকে নিয়ে চর্চা করছি। প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে বাউলদের কাছে গান শিখেছি এবং গান সংগ্রহ করে সেগুলোর ওপর গবেষণা করেছি। গান শিখতে আমি বাংলাদেশ এবং ভারতের অনেক অঞ্চলে গিয়েছি যেগুলোর নাম বলে শেষ করা যাবে না। অনেক অঞ্চলের গান সংগ্রহ করেছি যেমন, হাসন, লালন, ভাটিয়ালি, ভাওয়াইয়া, ধামাইল, রাধারমণ, মারফতি, জারি, ইসলামীসহ অনেক ধরনের গান।

জলসা : লোকগানের প্রতি আপনার আগ্রহটা কীভাবে জন্মাল?

অভিজিৎ বসু : আমি কলকাতার ছেলে। আমার বাবার দেশ কোন এক সময় বাংলাদেশের বরিশালে ছিল। মা ছিলেন যশোরের। তারা এক সময় ছিন্নমূল হয়ে কলকাতাতে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। কলকাতা শহরের ছেলে হলেও আমার কলেজ জীবন কাটে দুর্গাপুরে। আর গানের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি হয় শহর থেকেই। যখন কলেজে যেতাম তখন সেখানকার কুলি এবং কয়লা শ্রমিক পুরুষ ও মহিলাদের দেখতাম দল বেঁধে গান করতে করতে কাজ করতে যেত। তাদের সেই মাটির কথা এবং অকৃত্রিম সুর আমার মনের ভেতর দোলা দিত। আমার আগ্রহ মূলত সেখান থেকেই জন্মায়। এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে গান শেখা শুরু হয়। আনন্দ বিশ্বাসের কাছে দেড়-দু'বছর লোকগান শিখি। এসবের ভেতর দিয়েই লোকগানের প্রতি ভালোবাসা এবং মমত্ববোধ বেড়ে যায়।

জলসা : সংগীতে চলার পথ কতদিনের...?

অভিজিৎ বসু : সেটা বহুদিনের। প্রথম আমি শিক্ষা লাভ করি সুনামগঞ্জের হেমঙ্গ বিশ্বাসের কাছে। পরবর্তীতে তিনি কলকাতায় চলে যান। একসময় মনে হলো লোকসংগীত শিখতে হলে শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের চার দেয়ালের ভেতর ঘুরলে হবে না। বাইরে বেরুতে হবে। পরে গানের জন্য প্রত্যন্ত অঞ্চলের বাউলদের কাছে যাওয়া শুরু করি। এগুলো করতে করতে এবং জানতে জানতে গানের প্রতি আগ্রহটা আরও বেড়ে গেল। আমি নিজেই এগুলো নিয়ে গবেষণা করেছি। দেখেছি কুচবিহারের গান, রংপুরের ভাওয়াইয়া গান শুধু ওই অঞ্চলেই সীমাবদ্ধ আছে। রাধারমণের গান, মুসলিম বিয়ের গান কিংবা রামাই গান সেটা নেত্রকোনা, সিলেট, কিশোরগঞ্জ এসব জায়গায় সীমাবদ্ধ আছে। আমি চেষ্টা করেছি এই গানগুলোকে নিয়ে শহুরে শিক্ষায় এদের শ্লীলতাহানি না করে এ অঞ্চল থেকে মুক্ত করে ধর্ম, বর্ণহীনভাবে সমাজ সংস্কৃতির ভেদাভেদের উরধে তুলে সবার জন্য গ্রহণযোগ্য করে তুলতে।

জলসা : দুই বাংলার লোকগানের মধ্যে কোন ধরনের পার্থক্য আপনার চোখে পড়েছে?

অভিজিৎ বসু : দুই বাংলার লোকগানের ক্ষেত্রে সুরের পার্থক্য রয়েছে। তিনশ' বছর আগের লীলাবালি গানটা একই রয়েছে। ওপার বাংলায় ঝুমুর গানের চর্চা আছে। যা এ বাংলায় তেমন একটা নেই।

জলসা : নতুন প্রজন্ম লোকগানকে কতটা গ্রহণ করবে বলে আপনার মনে হয়?

অভিজিৎ বসু : সবার হাতে এখন মোবাইল পেঁৗছে গেছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলেও ইন্টারনেট পেঁৗছে গেছে। প্রযুক্তিকে উপেক্ষা করার উপায় নেই। একে উপেক্ষা করতে চাওয়া মানে এক ধরনের গোড়ামি। লোকগান শুধু একতারা, ডুগডুগি আর বাঁশি বাজিয়ে গাইতে হবে এমন কোন কথা নেই। ড্রাম, গিটার, কিবোর্ড ব্যবহার করেও গাওয়া যায়। যুগের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কিছু করলে নতুন প্রজন্ম সানন্দে সেটা গ্রহণ করবে। তবে শুধু সফটওয়ারের সহযোগিতায় করলে তা বেশিদিন স্থায়ী হবে না। শিল্পী হতে হলে শিখতে হবে। সাধনা করতে হবে। নিজের যোগ্যতা তৈরি করতে হবে।

Kalo Jole_অভিজিৎ বসু

প্রত্যন্ত অঞ্চলের বাউলদের কাছে ও গান শিখেছি : অভিজিৎ বসু

জলসা : আপনি কি নিজেকে একজন লোকশিল্পী মনে করেন?

অভিজিৎ বসু : দেখুন লোকশিল্পী বলতে আমরা বুঝি যারা কোন নির্দিষ্ট একটি অঞ্চলের গানের চর্চা করেন। যেমন রংপুরের লোকরা ভাওয়াইয়া গান গায়, শেফালী ঘোষ চট্টগ্রামের পালা গান গাইতেন। প্রয়াত নির্মলেন্দু চৌধুরী সিলেট অঞ্চলের গানের চর্চা করতেন। এছাড়াও, হাসন, লালন, রাধারমণ সবই লোকগানের এক অনন্য সৃষ্টি। আমার বিষয়টি হচ্ছে আমি এসব লোকসংগীতকে নিয়ে চর্চা করছি। প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে বাউলদের কাছে গান শিখেছি এবং গান সংগ্রহ করে সেগুলোর ওপর গবেষণা করেছি। গান শিখতে আমি বাংলাদেশ এবং ভারতের অনেক অঞ্চলে গিয়েছি যেগুলোর নাম বলে শেষ করা যাবে না। অনেক অঞ্চলের গান সংগ্রহ করেছি যেমন, হাসন, লালন, ভাটিয়ালি, ভাওয়াইয়া, ধামাইল, রাধারমণ, মারফতি, জারি, ইসলামীসহ অনেক ধরনের গান।

জলসা : লোকগানের প্রতি আপনার আগ্রহটা কীভাবে জন্মাল?

অভিজিৎ বসু : আমি কলকাতার ছেলে। আমার বাবার দেশ কোন এক সময় বাংলাদেশের বরিশালে ছিল। মা ছিলেন যশোরের। তারা এক সময় ছিন্নমূল হয়ে কলকাতাতে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। কলকাতা শহরের ছেলে হলেও আমার কলেজ জীবন কাটে দুর্গাপুরে। আর গানের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি হয় শহর থেকেই। যখন কলেজে যেতাম তখন সেখানকার কুলি এবং কয়লা শ্রমিক পুরুষ ও মহিলাদের দেখতাম দল বেঁধে গান করতে করতে কাজ করতে যেত। তাদের সেই মাটির কথা এবং অকৃত্রিম সুর আমার মনের ভেতর দোলা দিত। আমার আগ্রহ মূলত সেখান থেকেই জন্মায়। এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে গান শেখা শুরু হয়। আনন্দ বিশ্বাসের কাছে দেড়-দু'বছর লোকগান শিখি। এসবের ভেতর দিয়েই লোকগানের প্রতি ভালোবাসা এবং মমত্ববোধ বেড়ে যায়।

জলসা : সংগীতে চলার পথ কতদিনের...?

অভিজিৎ বসু : সেটা বহুদিনের। প্রথম আমি শিক্ষা লাভ করি সুনামগঞ্জের হেমঙ্গ বিশ্বাসের কাছে। পরবর্তীতে তিনি কলকাতায় চলে যান। একসময় মনে হলো লোকসংগীত শিখতে হলে শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের চার দেয়ালের ভেতর ঘুরলে হবে না। বাইরে বেরুতে হবে। পরে গানের জন্য প্রত্যন্ত অঞ্চলের বাউলদের কাছে যাওয়া শুরু করি। এগুলো করতে করতে এবং জানতে জানতে গানের প্রতি আগ্রহটা আরও বেড়ে গেল। আমি নিজেই এগুলো নিয়ে গবেষণা করেছি। দেখেছি কুচবিহারের গান, রংপুরের ভাওয়াইয়া গান শুধু ওই অঞ্চলেই সীমাবদ্ধ আছে। রাধারমণের গান, মুসলিম বিয়ের গান কিংবা রামাই গান সেটা নেত্রকোনা, সিলেট, কিশোরগঞ্জ এসব জায়গায় সীমাবদ্ধ আছে। আমি চেষ্টা করেছি এই গানগুলোকে নিয়ে শহুরে শিক্ষায় এদের শ্লীলতাহানি না করে এ অঞ্চল থেকে মুক্ত করে ধর্ম, বর্ণহীনভাবে সমাজ সংস্কৃতির ভেদাভেদের উরধে তুলে সবার জন্য গ্রহণযোগ্য করে তুলতে।

জলসা : দুই বাংলার লোকগানের মধ্যে কোন ধরনের পার্থক্য আপনার চোখে পড়েছে?

অভিজিৎ বসু : দুই বাংলার লোকগানের ক্ষেত্রে সুরের পার্থক্য রয়েছে। তিনশ' বছর আগের লীলাবালি গানটা একই রয়েছে। ওপার বাংলায় ঝুমুর গানের চর্চা আছে। যা এ বাংলায় তেমন একটা নেই।

জলসা : নতুন প্রজন্ম লোকগানকে কতটা গ্রহণ করবে বলে আপনার মনে হয়?

অভিজিৎ বসু : সবার হাতে এখন মোবাইল পেঁৗছে গেছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলেও ইন্টারনেট পেঁৗছে গেছে। প্রযুক্তিকে উপেক্ষা করার উপায় নেই। একে উপেক্ষা করতে চাওয়া মানে এক ধরনের গোড়ামি। লোকগান শুধু একতারা, ডুগডুগি আর বাঁশি বাজিয়ে গাইতে হবে এমন কোন কথা নেই। ড্রাম, গিটার, কিবোর্ড ব্যবহার করেও গাওয়া যায়। যুগের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কিছু করলে নতুন প্রজন্ম সানন্দে সেটা গ্রহণ করবে। তবে শুধু সফটওয়ারের সহযোগিতায় করলে তা বেশিদিন স্থায়ী হবে না। শিল্পী হতে হলে শিখতে হবে। সাধনা করতে হবে। নিজের যোগ্যতা তৈরি করতে হবে।

Fuul Gachhti Lagoichhilam_অভিজিৎ বসু

Parvathy  Das Baul is one of few women to follow the path of Bauls today: her brilliant artistry reflects both ancient wisdom and inspiration of an artist actually inhabited.

Although its within the tradition of her guru Sanathana Das Baul, she prints a flavor and energy of her own. Accompanied by four musicians , she gives us her vision of mystical love uniting Radha and Krishna, a vision that, tracks traces the steps with strength and conviction.

“Parvathy’s voice is wholly owned by this mystical feeling behind the poetry of Bauls undoubtedly distributes fragrances and the awakening of compassion”(Ethno tempos)

Ache Shyam Onge Rai Ango...পার্বতী দাস বাউল

আমার যমুনার জল দেখতে কালো

Aamar Jomunar Jol dekhte kalo

নিত্য মুগ্ধতার মধ্যে বেঁচে থাকা !

বাউল এবং লোকগীতি

tnvrav