শিরোনামঃ সাবিত্রী রয়
কন্ঠঃ আইয়ুব বাচ্চু
ব্যান্ডঃ এল আর বি
অ্যালবামঃ স্পর্শ

 

 

লাল্লারালা লারালারালারালা
লাল্লারালা লারালারালা
বরাবরি আমি দূরন্ত খুব, ভীষণ বাধনহারা
আমার ভয়ে কাতর যেন, সেই বনগ্রামপাড়া
বাড়ির কারো শাসন বারন, মানতাম নাতো মোটে
বুকের ভেতর লাগামবিহীন বলগা হরিন ছোটে
কিশোর মনের ভাবনাগুলো আবেগ প্রবন এতো
হাজার রঙের স্বপ্ন বুনে প্রহর কেটে যেতো
লাল্লারালা লারালারালারালা
লাল্লারালা লারালারালা

হঠাৎ বুকের বাম দিকটাতে কিসের যেন মায়া
একটা পুতুল মায়ার পুতুল ফেললো সেখানে ছায়া
প্রতিমার মত চাঁদমুখ তাঁর, দুচোখে লাজুক সকাল
নুপুর পায়ে ভীরু চলন, হাসিতে সুর্য আড়াল
অস্থিরতার সবকটা ক্ষন দিলাম সঁপে তাকে
আমার ভেতর অন্য আমি, নিজেকে লুকিয়ে রাখে
প্রেম প্রেম সুখে বিভোর নয়ন
স্বপ্নে সে মুখ ভাসে
এতো কাছে পেয়েও পাই না তারে, যুদ্ধ জয়ের মাসে
লাল্লারালা লারালারালারালা
লাল্লারালা লারালারালা

আমি আর সে পাশাপাশি থাকি, পাশাপাশি ঘরবাড়ি
জানালায় বসে প্রতি সন্ধ্যাতে দীর্ঘশ্বাস ছাড়ি
চোখে চোখে হয় কথা বিনিময়, সাবিত্রী রয় নামে
গড়েছি বুকে তাজমহল এক, অবুঝ প্রেমের দামে
লাল্লারালা লারালারালারালা
লাল্লারালা লারালারালা

ক্লাস সেভেনের বইয়ে চোখ রেখে, তার খোলা জানালাতে
পড়বার ছলে সে আমার সাথে কথা বলে দিন রাতে
ভোর রাঙ্গা সেই সময়ের কাছে স্বর্গও নয় কিছু
এমন সময় সারা পাড়া যেন নিল দুজনের পিছু
সাবিত্রী আর আমার প্রেমের কান কথা যায় রটে
এর মাঝে ভাসে অন্য ছবি মাতৃভূমির পটে
সবকিছু হয়ে গেলো এলোমেলো, উত্তাল একাত্তরে
মাকে বাঁচাবার শপথ নিয়ে, ছেলে গেলো ঘর ছেড়ে
লাল্লারালা লারালারালারালা
লাল্লারালা লারালারালা

সেই অসময়ে সাবিত্রীও গেলো দেশ ছেড়ে কলকাতা
যোদ্ধাহত মন আমার কাঁদে, সজল চোখের পাটে
মাকে পেয়ে আমি হারাই তোমায়, সেই ঠিকানায় আছি
তোমাদের সেই বাড়িটাও আছে দৃষ্টির কাছাকাছি
লাল্লারালা লারালারালারালা
লাল্লারালা লারালারালা

সেই জানালাতে আজো খুজে ফিরি, হারানো সে প্রতিমাকে
তুমি কি এখনো কলকাতা আছো, নাকি অন্য বাকে?
কেমন হয়েছে সংসার তোমার, কেমন হয়েছো তুমি?
তোমার প্রেমের দাম দিয়ে কেনা আমার স্বদেশ ভুমি
আর যদি কোনো পুজা পার্বনে আসো তুমি এই দেশে
হারানো প্রেমের অর্ঘ্য নিও একবার কাছে এসে
তোমার অভাবে অস্থির আমি রয়ে গেছি আজো একা
এই শেষ কথা জানাবো তোমায় আর যদি হয় দেখা
লাল্লারালা লারালারালারালা
লাল্লারালা লারালারালা
লাল্লারালা লারালারালারালা
লাল্লারালা লারালারালা

সাবিত্রী রায় (Sabitri Roy_by_Aiyub Bacchu)

Shonali Shei Dine..... SHOHORTOLI

Otole  Shohortoli....shohortoli

Written, Sung and Produced by me. Enjoy :)
Please leave your feeds and like my Facebook page here:
www.facebook.com/shahrarnizam 
CLICK "Buy" for FREE DOWNLOAD!

Kokil - Shahrar

My cover of Roller Coaster by Luke Bryan.. Thanks for listening please leave feedback.. E 
Side note Cole Swindell wrote this song

Roller Coaster (Luke Bryan)

Chaaley is a Dhivehi song by the Maldivian band Trio

Trio - Chaaley (cover) by Mysha Didi & Ameer

Brishti dekhe onek kedechi is
one of the best song by Souls(One of leading band of Bangladesh)



Bristi dekhe onek kedechi by souls

প্রত্যন্ত অঞ্চলের বাউলদের কাছে ও গান শিখেছি : অভিজিৎ বসু

জলসা : আপনি কি নিজেকে একজন লোকশিল্পী মনে করেন?

অভিজিৎ বসু : দেখুন লোকশিল্পী বলতে আমরা বুঝি যারা কোন নির্দিষ্ট একটি অঞ্চলের গানের চর্চা করেন। যেমন রংপুরের লোকরা ভাওয়াইয়া গান গায়, শেফালী ঘোষ চট্টগ্রামের পালা গান গাইতেন। প্রয়াত নির্মলেন্দু চৌধুরী সিলেট অঞ্চলের গানের চর্চা করতেন। এছাড়াও, হাসন, লালন, রাধারমণ সবই লোকগানের এক অনন্য সৃষ্টি। আমার বিষয়টি হচ্ছে আমি এসব লোকসংগীতকে নিয়ে চর্চা করছি। প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে বাউলদের কাছে গান শিখেছি এবং গান সংগ্রহ করে সেগুলোর ওপর গবেষণা করেছি। গান শিখতে আমি বাংলাদেশ এবং ভারতের অনেক অঞ্চলে গিয়েছি যেগুলোর নাম বলে শেষ করা যাবে না। অনেক অঞ্চলের গান সংগ্রহ করেছি যেমন, হাসন, লালন, ভাটিয়ালি, ভাওয়াইয়া, ধামাইল, রাধারমণ, মারফতি, জারি, ইসলামীসহ অনেক ধরনের গান।

জলসা : লোকগানের প্রতি আপনার আগ্রহটা কীভাবে জন্মাল?

অভিজিৎ বসু : আমি কলকাতার ছেলে। আমার বাবার দেশ কোন এক সময় বাংলাদেশের বরিশালে ছিল। মা ছিলেন যশোরের। তারা এক সময় ছিন্নমূল হয়ে কলকাতাতে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। কলকাতা শহরের ছেলে হলেও আমার কলেজ জীবন কাটে দুর্গাপুরে। আর গানের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি হয় শহর থেকেই। যখন কলেজে যেতাম তখন সেখানকার কুলি এবং কয়লা শ্রমিক পুরুষ ও মহিলাদের দেখতাম দল বেঁধে গান করতে করতে কাজ করতে যেত। তাদের সেই মাটির কথা এবং অকৃত্রিম সুর আমার মনের ভেতর দোলা দিত। আমার আগ্রহ মূলত সেখান থেকেই জন্মায়। এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে গান শেখা শুরু হয়। আনন্দ বিশ্বাসের কাছে দেড়-দু'বছর লোকগান শিখি। এসবের ভেতর দিয়েই লোকগানের প্রতি ভালোবাসা এবং মমত্ববোধ বেড়ে যায়।

জলসা : সংগীতে চলার পথ কতদিনের...?

অভিজিৎ বসু : সেটা বহুদিনের। প্রথম আমি শিক্ষা লাভ করি সুনামগঞ্জের হেমঙ্গ বিশ্বাসের কাছে। পরবর্তীতে তিনি কলকাতায় চলে যান। একসময় মনে হলো লোকসংগীত শিখতে হলে শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের চার দেয়ালের ভেতর ঘুরলে হবে না। বাইরে বেরুতে হবে। পরে গানের জন্য প্রত্যন্ত অঞ্চলের বাউলদের কাছে যাওয়া শুরু করি। এগুলো করতে করতে এবং জানতে জানতে গানের প্রতি আগ্রহটা আরও বেড়ে গেল। আমি নিজেই এগুলো নিয়ে গবেষণা করেছি। দেখেছি কুচবিহারের গান, রংপুরের ভাওয়াইয়া গান শুধু ওই অঞ্চলেই সীমাবদ্ধ আছে। রাধারমণের গান, মুসলিম বিয়ের গান কিংবা রামাই গান সেটা নেত্রকোনা, সিলেট, কিশোরগঞ্জ এসব জায়গায় সীমাবদ্ধ আছে। আমি চেষ্টা করেছি এই গানগুলোকে নিয়ে শহুরে শিক্ষায় এদের শ্লীলতাহানি না করে এ অঞ্চল থেকে মুক্ত করে ধর্ম, বর্ণহীনভাবে সমাজ সংস্কৃতির ভেদাভেদের উরধে তুলে সবার জন্য গ্রহণযোগ্য করে তুলতে।

জলসা : দুই বাংলার লোকগানের মধ্যে কোন ধরনের পার্থক্য আপনার চোখে পড়েছে?

অভিজিৎ বসু : দুই বাংলার লোকগানের ক্ষেত্রে সুরের পার্থক্য রয়েছে। তিনশ' বছর আগের লীলাবালি গানটা একই রয়েছে। ওপার বাংলায় ঝুমুর গানের চর্চা আছে। যা এ বাংলায় তেমন একটা নেই।

জলসা : নতুন প্রজন্ম লোকগানকে কতটা গ্রহণ করবে বলে আপনার মনে হয়?

অভিজিৎ বসু : সবার হাতে এখন মোবাইল পেঁৗছে গেছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলেও ইন্টারনেট পেঁৗছে গেছে। প্রযুক্তিকে উপেক্ষা করার উপায় নেই। একে উপেক্ষা করতে চাওয়া মানে এক ধরনের গোড়ামি। লোকগান শুধু একতারা, ডুগডুগি আর বাঁশি বাজিয়ে গাইতে হবে এমন কোন কথা নেই। ড্রাম, গিটার, কিবোর্ড ব্যবহার করেও গাওয়া যায়। যুগের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কিছু করলে নতুন প্রজন্ম সানন্দে সেটা গ্রহণ করবে। তবে শুধু সফটওয়ারের সহযোগিতায় করলে তা বেশিদিন স্থায়ী হবে না। শিল্পী হতে হলে শিখতে হবে। সাধনা করতে হবে। নিজের যোগ্যতা তৈরি করতে হবে।

Shonali Shei Dine..... SHOHORTOLI

Rizwanul Hoque Chowdhury