কেন আশা বেঁধে রাখি
শিল্পীঃ মিতালী মুখার্জী

........................

কেন আশা বেঁধে রাখি।
কেন দীপ জ্বেলে রাখি।।

জানি আসবে না ফিরে আর তুমি।
তবু পথ পানে চেয়ে থাকি।।

জানবে না তুমি বুঝবে না তুমি
এই ব্যাথা আমার এ জ্বালা আমার।

ছিলে কাছে যখন ছিল সবই আপন।
সেই ভেবে জলে ভরে আঁখি।।

কত আশা ছিল কত ছিল যে গান
কত হাসি ছিল কত অভিমান।

সূর্য জ্বলা এই সকাল আমার।
আধারে সবই গেল ঢাকি।।

এই মনের কথা হয়নি তো বলা
হয়নি তো যো সেই পথে চলা।

স্বপ্ন যে ছিল সবই তোমার দেয়া।
তবে কেন দিলে তুমি ফাঁকি।।
......................................

কেন আশা বেঁধে রাখি -মিতালী মুখার্জী

Oshamajik by Warfaze

বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর নদেয় এলো বান, 
বানের জলে ভাসলো পুকুর ভাসলো আমার গান। 
বন্ধু আইসোরে... 
কোলেতে বসতে দেবো, মুখে দেবো পান। 

ইষ্টি-কুটুম বৃষ্টি এলো সৃষ্টি হলো সুর, 
ভালোবাসায় ভাসলো খেয়া— ঐতো পাখিপুর। 
ইচ্ছে হলে এখন তুমি নাইতে পারো, 
বৃষ্টিজলে নূপুর পড়ে গাইতে পারো, 
এখানে সবাই স্বাধীন বাঁধনহারা, 
এখানে সবই নতুন— অন্যরকম অন্যধারা। 
টিবি ডাব টিবি ডাব টিবি ডিবি ডাব 

বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর নদেয় এলো বান, 
বানের জলে ভাসলো পুকুর ভাসলো আমার গান। 
বন্ধু আইসোরে... 
কোলেতে বসতে দেবো, মুখে দেবো পান। 
বৃষ্টি পড়ে— টাপুর টুপুর টাপুর টুপুর টাপুর টুপুর টাপুর টুপুর 
টিবি ডাব টিবি ডাব টিবি ডিবি ডাব

▶ বৃষ্টির গান Bristir Gaan জলের গান Joler Gaan

সকলে আমাদের ফেসবুক পেজ এর সাথেই থাকুন //www.facebook.com/James.NagarBaul.RockLegend //

ভিগি ভিগি-জেমস(আনপ্লাগড বাশি মিক্স)

মানুষ মানুষের জন্যে
জীবন জীবনের জন্যে
একটু সহানুভূতি কি
মানুষ পেতে পারে না…..ও বন্ধু।

মানুষ মানুষকে পণ্য করে
মানুষ মানুষকে জীবিকা করে
পুরোনো ইতিহাস ফিরে এলে
লজ্জা কি তুমি পাবে না…...ও বন্ধু।

বলো কি তোমার ক্ষতি
জীবনের অথৈ নদী
পার হয় তোমাকে ধরে
দুর্বল মানুষ যদি।

মানুষ যদি সে না হয় মানুষ
দানব কখনো হয় না মানুষ
যদি দানব কখনো বা হয় মানুষ
লজ্জা কি তুমি পাবে না…....ও বন্ধু।

মানুষ মানুষের জন্যে-ভূপেন হাজারিকা

বসন্ত এসে গেছে | Bawshonto Eshe Geche

গানঃ কিংবদন্তী
লেখাঃসঞ্জীব চৌধুরী
সুরঃসঞ্জীব চৌধুরী
শিল্পীঃ সঞ্জীব চৌধুরী
অ্যালবামঃ কিংবদন্তী

তুই যে আমার মনমুনিয়া
কিংবদন্তী চাঁদের কনা
বুকের ভেতর লুকিয়ে আছিস
চিরদিনের চিরচেনা
কোথায় যেন বৃষ্টি ঝরে
মায়ের কথা মনে পড়ে
তোর মাঝেও মায়ের ছবি
দুঃখে সুখে কি আনমনা
বুকের ভেতর লুকিয়ে আছিস 
চিরকালের চিরচেনা

ছোট্ট পাখি চাঁদের পরী
বলছি তোরই কাছে 
একটি দুটি মানুষ কেন
কষ্ট নিয়ে বাঁচে
একটি দুটি মানুষ হাসে
চোখভরা কান্নায়
ব্যস্ত থাকে আকাশভরা
বিশ্বটা আর নাই
কোথায় যেন বৃষ্টি ঝরে
মায়ের কথা মনে পড়ে
তোর মাঝেও মায়ের ছবি
দুঃখে সুখে কি আনমনা
বুকের ভেতর লুকিয়ে আছিস 
চিরকালের চিরচেনা
চাঁদ উঠলে বাশবাগানে
বলব শোলোক তোরই কানে
জোছনা যেন উপছে পড়ে 
টালমাটাল এই সুখের ঘরে
ছোট্ট পাখি চাঁদের পরী
কথা তোরই কাছে
সুখ দুঃখের দিনরাত্রি
রাখবো বুকের ভাঁজে 
কোথায় যেন বৃষ্টি ঝরে
মায়ের কথা মনে পড়ে
তোর মাঝেও মায়ের ছবি
দুঃখে সুখে কি আনমনা
বুকের ভেতর লুকিয়ে আছিস 
চিরকালের চিরচেনা


Kingbodonti by Sanjeeb Chowdhury

A beautiful bangla song, originally performed by  Samina Chowdhury. 
 Music  is done by my younger Brother Mathur Mannan.


ওই ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় covered by Kuhu Mannan


প্রেম
২১
অনেক দিনের আমার যে গান আমার কাছে ফিরে আসে
তারে আমি শুধাই, তুমি ঘুরে বেড়াও কোন্‌ বাতাসে ॥
যে ফুল গেছে সকল ফেলেগন্ধ তাহার কোথায় পেলে,
যার আশা আজ শূন্য হল কী সুর জাগাও তাহার আশে ॥
সকল গৃহ হারালো যার তোমার তানে তারি বাসা,
যার বিরহের নাই অবসান তার মিলনের আনে ভাষা ।
শুকালো যেই নয়নবারিতোমার সুরে কাঁদন তারি,
ভোলা দিনের বাহন তুমি স্বপন ভাসাও দূর আকাশে ॥


শ্রাবণী সেন - অনেক দিনের আমার যে গান

Amar hiar majhe(chamok hasan)

একটু ভালোকরে বাঁচবো বলে আর
একটু বেশি রোজগার
ছাড়লাম ঘর আমি
ছাড়লাম ভালোবাসা আমার নীলচে পাহাড় ।

পারলোনা কিছুতেই তোমার কলকাতা
আমাকে ভুলিয়ে দিতে
পাহাড়ী রাস্তার ধারের বস্তির
আমার কাঞ্চনকে.....
কাঞ্চন জানা, কাঞ্চন ঘর
কাঞ্চনজঙ্ঘা , কাঞ্চন মন ।
তো পাইলে সোনা ........
হনু হইয়্যো... ম উল্লা
ভাংচু কাঞ্চন ।

সোনার খোঁজে কেউ
কত দূর দেশে যায়
আমি কলকাতায়,
সোনার স্বপ্ন খুঁজে ফিরি একা একা
তোমাদের ধর্মতলায়।
রাত্তির নেমে এলে তিন'শ বছরের
সিমেন্টের জঙ্গলে
ফিরে চলে যাই সেই
পাহাড়ী বস্তির কাঞ্চনের কোলে ।
জং ধরা রং চটা পার্কের বেঞ্চিটা
আমার বিছানা ।
কখন যে তুলে নিয়ে গিয়েছিল আমাকে
তোমাদের থানা ।
তিন মাস জেল খেটে
এখন আমি সেই থানার দারোয়ান
পারবোনা ফিরে পেতে হয়তো কোনদিন
আমার সেই কাঞ্চন.......
কাঞ্চন জানা, কাঞ্চন ঘর
কাঞ্চনজঙ্ঘা,কাঞ্চন মন ।
তো পাইলে সোনা ........
হনু হইয়্যো... ম উল্লা
ভাংচু কাঞ্চন ।

বেড়াতে যদি তুমি যাও কোনদিন
আমার ক্যালিম্পং
মনেরেখ শংকর হোটেলের ভাড়া
ট্যুরিস্ট লজের চেয়ে কম
রাত্তির নেমে এলে আসবে
তোমার ঘরে চুল্লিটা জ্বালিয়ে দিতে
আর কেউ নয় সে যে আমার ফেলে আসা
নীলচে পাহাড়ের মেয়ে,
বলোনা তাকে আমি দারোয়ান
শুধু বলো করছি ভালোই রোজগার
ঐ বস্তির ড্রাইভার চীগমীর সাথে
যেন বেঁধে না ফেলে সংসার
আর কিছু টাকা আমি জমাতে পারলে যাব যাব ফিরে
পাহাড়ী রাস্তার ধারের বস্তির আমার নিজের ঘরে ।

আর যদি দেখ তার কপালে সিঁদুর
বলোনা কিছুই তাকে আর
শুধু এই সত্তর টাকা
তুমি যদি পার গুঁজে দিও হাতে তার ।
ট্রেনের টিকিটের ভাড়াটা সে দিয়েছিল
কানের মাঁকড়ি বেচে
ভালোবাসার সেই দাম তুমি দিয়ে দিও
আমার কাঞ্চনকে ...... 
কাঞ্চন জানা, কাঞ্চন ঘর
কাঞ্চনজঙ্ঘা, কাঞ্চন মন ।
তুমি যাকে বল সোনা
আমি তাকে বলি কাঞ্চন......
কাঞ্চন জানা, কাঞ্চন ঘর
কাঞ্চনজঙ্ঘা, কাঞ্চন মন ।
তো পাইলে সোনা ........
হনু হইয়্যো... ম উল্লা
ভাংচু কাঞ্চন । 

Kanchan Jangha__Anjan Dutta

সঞ্জীব চৌধুরী । একটি নাম কিন্তু অনেক পরিচয় । তিনি ছিলেন একাধারে সাংবাদিক,সুরকার, গীতিকার এবং তাঁর সবথেকে সর্বজনীন পরিচয় - গায়ক । তিনি দলছুট ব্যান্ডের অন্যতম প্রধান প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন । দলছুট এর হয়ে করা কিছু গান তাকে বাংলা গানের ইতিহাসে অমর করে রাখবে চিরকাল । 

সঞ্জীব চৌধুরী ১৯৬২ সালের ২৫ শে ডিসেম্বর হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় জন্মগ্রহন করেন । ছাত্রজীবনে তিনি তুখোর মেধাবী ছাত্র ছিলেন । ম্যাট্রিক এবং ইন্টারমিডিয়েটে তিনি সম্মিলিত মেধা তালিকায় স্থান লাভ করেন । পরবর্তীতে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতা বিষয়ে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেন । বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালীন সময়ে তিনি বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করতেন এবং তাঁর সহপাঠীদের গান শেখাতেন । 

সঙ্গীতজীবনের প্রথমদিকে তিনি শঙ্খচিল নামে একটি ব্যান্ডে গান করতেন । মধ্য নব্বইয়ের দশকে সঞ্জীব চৌধুরী এবং বাপ্পা মজুমদার মিলে দলছুট ব্যান্ড প্রতিষ্ঠা করেন । ১৯৯৬ সালে দলছুটের প্রথম এলবাম "আহ" রিলিজ হয় । সেই এলবামের ডুয়েট গান "সাদা ময়লা রঙ্গিলা পালে" ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায় সাথেসাথেই । দলছুটের দ্বিতীয় এলবাম "হৃদয়পুর" । হৃদয়পুর এলবামটি দলছুটের সর্বাধিক জনপ্রিয় এলবাম বলে বিবেচিত । এই এলবামে সঞ্জীব চৌধুরী এবং বাপ্পা মজুমদার শাহ আব্দুল করিম এর "গাড়ি চলে না" গানটি গেয়েছিলেন যেটা আবার জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান "ইত্যাদি" তে দেখানও হয়েছিল । "আমি তোমাকেই বলে দেবো" - এই এলবামের আরেকটি জনপ্রিয় গান । দলছুটের তৃতীয় এলবাম "আকাশচুরি" এর ফোক গান "বায়স্কোপ" আবারও ইত্যাদিতে দেখানো হয় এবং তা বিপুল জনপ্রিয়তা পায় । সঞ্জীব চৌধুরীর সোলো এলবাম স্বপ্নবাজি ২০০৫ সালে রিলিজ হয় । এবং দলছুটের "জোছনাবিহার" এলবাম টি ২০০৭ সালে বের হয় যে এলবামে শেষ বারের মত সঞ্জীব চৌধুরীর সম্পৃক্ততা ছিল ।


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েশনের পর সঞ্জীব চৌধুরী কিছু দৈনিক পত্রিকা তে কাজ করেন । প্রথমে তিনি আজকের কাগজ এবং পরবর্তীতে তিনি ভোরের কাগজ পত্রিকার সাথে সম্প্রিক্ত ছিলেন এবং নিজেকে তিনি একজন ফিচার লেখন হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন । তিনি "মেলা" নামের একটি জনপ্রিয় ম্যাগাজিনের সম্পাদক ছিলেন । পরবর্তীতে তিনি "ইষ্টিকুটুম" এবং পাঠক ফোরাম এর সম্পাদক হন । তিনি বহু তরুন সাংবাদিক এবং লেখকদের অনুপ্রানিত করেন এবং লেখায় উৎসাহ প্রদান করেন । তিনি "যায়যায়দিন" পত্রিকার সঙ্গেও কিছুদিন সংযুক্ত ছিলেন । 


এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে সঞ্জীব চৌধুরী সক্রিয় ভুমিকা রাখেন এবং তাঁর এরশাদবিরোধী কবিতা গুলো বিশ্ববিদ্যালয়ে তুমুল জনপ্রিয়তা লাভ করে । তখন তিনি সকলের কাছে "সঞ্জীব'দা " নামে পরিচিতি লাভ করেন । 

সঞ্জীব চৌধুরীর পরিবার প্রদত্ত ডাকনাম কাজল । তাঁর একমাত্র কন্যার নাম কিংবদন্তী । 

২০০৭ সালের ১৫শে নভেম্বর তিনি আকস্মিকভাবে অসুস্থ হন । পরবর্তীতে অ্যাপোলো হসপিটালের আইসিইউ তে থাকা অবস্থায় ১৯ শে নভেম্বর, ২০০৭ সালে এই ক্ষণজন্মা মানুষটি পৃথিবীর বুক থেকে চিরকালের জন্য বিদায় নেন ।
